1. admin@dailynayasokal.com : admin :
শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৪:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
চাপে সরকার, দিতে পারে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কথা ভাবছে আওয়ামী লীগ, লক্ষ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির পদ পেলেন আরও ৮৯ জন সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় পুলিশের ব্যাপক তৎপরতার মধ্যে দিয়ে ইউনিয়ন বিএনপি’র পদযাত্রা কর্মসূচি পালন গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি’র জন্মদিন উপলক্ষে কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খান এর পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল বিপিএলের সময় সূচি জেনে নিন ফরাসি ভক্তদের থামাতে আর্জেন্টাইনদের পাল্টা পিটিশন পুষ্প : মাওবাদী গেরিলা থেকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ইসলামাবাদে বিলাসবহুল হোটেলে হামলার আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা বিএনপি নেতাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা হচ্ছে : বুলু

১০ ডিসেম্বর থেকে এক দফার আন্দোলন: মির্জা ফখরুল

সুমন আহমেদ
  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ৩৯ বার পঠিত

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর নাকি সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। দেশটা কি কারও বাপের রাজত্ব নাকি। দশ তারিখে এখানেই (নয়াপল্টনে) সমাবেশ হবে। এটা জনগণের ঘোষণা। খুব পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। আমাদের দাবিও পরিষ্কার। বলেছি জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে। এখনোতো আসল ঘোষণা দেইনি। আসল ঘোষণা আসবে ১০ তারিখে। সেদিন থেকে শুরু হবে এক দফার আন্দোলন।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন নিহতের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি পরিষ্কার। বলেছি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, আমাদের শাওন, নূরে আলম, আব্দুর রহিমের হত্যার প্রতিবাদে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে, দেশের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই সমাবেশ। এখানে কোনোপ্রকার ছাড় নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের জীবন নিয়ে খেলছে। আমাদের সাতজনকে হত্যা করেছে। আজকে আন্দোলনে ফেটে পড়তে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। জেগে উঠতে হবে। এমনি এমনি কেউ সরে না, সরাতে হবে। মানুষের বল দিয়ে শক্তি দিয়ে, এদেরকে চলে যেতে বাধ্য করতে হবে।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, আমরা সাতটি সমাবেশ করেছি। প্রতিটি সমাবেশে বাধা দিয়েছে, এরা কত বড় ভীরু, কাপুরুষ। গাড়ি বন্ধ করে দেয়, লঞ্চ বন্ধ করে দেয়, লেগুনা বন্ধ করে দেয়, তাতে কী সমাবেশ বন্ধ করতে পেরেছে? তিন ঘণ্টার সমাবেশকে তারা তিন দিন বানিয়েছে।

ফখরুল আরও বলেন, আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞা চাই না, এটা দেশের জন্য লজ্জার। কিন্তু এই লজ্জার জন্য দায়ী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার। আমরা চাই না কোনো বাহিনী আবার সেই নিষেধাজ্ঞায় পড়ুক। পরিষ্কার করে বলতে চাই, জনগণের প্রতিপক্ষ কেউ হবেন না। জনগণকে কখনোই ছোট করে দেখবেন না। জনগণ এই দেশের মালিক; শেখ হাসিনা নয়, আওয়ামীও লীগ নয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য। মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। এমন বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য সেদিন আমরা যুদ্ধ করিনি। তাদেরকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রাখার জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। আজকে সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ তাদের দুর্নীতি, অহংকার দিয়ে এ দেশের মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে। তাদের কথা শুনলে মনে হয় তারা হচ্ছে মালিক আমরা হচ্ছি চাকর-বাকর। তারা হচ্ছে রাজা, এ দেশের মানুষ হচ্ছে প্রজা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর